
লালগোলা: নামেই সরকারি গ্রামীন হাসপাতাল। বর্তমান পরিস্থিতি যেন জীবন্ত নরক। লালগোলার কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতালে বিগত কয়েকদিন ধরে নেই জল থেকে শুরু সামান্য শৌচালয়ের ব্যবস্থা। সবই কার্যত অকেজ হয়ে বন্ধ। আর এই দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে পড়ে চরম নাকালে পড়েছেন শতাধিক রোগী থেকে শুরু করে তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসা পরিবারের আত্মীয় পরিজন সকলে। যদিও এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছে। লালগোলা বিধানসভা কেন্দ্রের কয়েক লক্ষ বাসিন্দার প্রাথমিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ভরসার জায়গা এই সরকারি কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতাল। আর এই হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে এমনিতেই সাধারণ মানুষের অভিযোগের অন্ত নেই। তার মধ্যে এখন উপরি পাওনা হিসেবে এই প্রচন্ড গরমের মধ্যে জলের কোনরকম ব্যবস্থা নেই। পাশাপাশি রোগীদের জন্য ঘটা করে বিপুল সরকারি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মহিলা ,পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা থাকা শৌচালয়ও পুরোপুরি বন্ধ। এমতাবস্থায় বাধ্য হয়ে মুমূর্ষ রোগী (প্রসূতি থেকে শুরু করে,শিশু , বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সকলেই বাধ্য হয়ে বাড়তি টাকা দিয়ে হাসপাতাল চত্বরে থাকা সুলভ শৌচালয় ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন)। হাসপাতালের এই দুর্বিষহ অবস্থার কথা জানতে পেরেই এদিন সোমবার স্থানীয় কংগ্রেসের জেলা পরিষদের সদস্য তহিদুর সুমন ও লালগোলা ব্লক যুব কংগ্রেসের সভাপতি রবিউল পলাশ পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে হাজির হন। তারা প্রাইম বাংলা ২৪ এর মুখোমুখি হয়ে জানান, এই অবস্থা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান যারা রোগীদের হাল হকিকত দেখবার জন্য দায়িত্বে রয়েছেন তাদের চরম গাফিলতির জন্যেই সকলকে এই নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে”। একইসঙ্গে হাসপাতালের bmoh পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়ে দাবি করেন, হাসপাতালের পামপিং মেশিন কোন কারনে অকেজ হয়ে গেছে সেটি সাড়াই করতে দেওয়া হয়েছে। তবে কতদিনে ঠিক হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। অন্যদিকে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা লালগোলার তৃণমূল বিধায়ক মোহাম্মদ আলী এ বিষয়ে সাফাই দিয়ে বলেন, তিনার নাকি এই ঘটনার কিছুই জানা ছিল না। এই প্রথম প্রাইম বাংলা ২৪ এর মাধ্যমে তিনি পুরো বিষয়টি জানতে পারলেন। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তথা bmoh সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা করবেন। এখন দেখার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আর রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের এই দড়ি টানাটানির মধ্যে দিয়ে দিনে কতদিনে সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসে। ফলত ততদিন পর্যন্ত কার্যত জলশূন্য আর শৌচালয়হীন অবস্থাতেই অপেক্ষা করে কাটানো ছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা রোগীদের আর কোন উপায় নেই।