তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে সালিশি নিদান!কিশোরীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার অপরাধে কান ধরে উঠবস থেকে মুচলেকা।

কার্যত একবারে সমাজের অভিভাবকের ভূমিকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বসে সালিশি সভায়়় শাস্তির নিদান! গ্রামের কিশোরীর সঙ্গে প্রথমে প্রনয়ের সম্পর্ক তৈরি করে পরে তার সঙ্গে শারীরিক ভাবে মিলিত হবার সেই ছবি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল করে ধরা পড়ে গিয়ে তৃনমূল কার্যালয়ে সালিশী সভায় মুচলেকা দিয়ে কান ধরে উঠবস করতে হলো ওই যুবককে। এই ঘটনা মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমার অন্তর্গত ধুলিয়ান এলাকায় নজরে আসতে শোরগোল পড়েছে সর্বত্র।পাশাপাশি পুরো বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে তৃণমূল নেতৃত্ব, ঘটনার পর থেকে গ্রাম ছেড়ে পলাতক এই করিৎকর্মা যুবকও।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোলাপ শেখ নামের বিবাহিত দুই সন্তানের এক জনক এলাকার এক নাবালিকার সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে বলেই অভিযোগ। এরপরে সে সম্পর্কে জেরে দু’জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয়। সেই ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেছিল গোলাপ। পরে দু’জনের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় সেই ছবি, ভিডিও ভাইরাল করে দেয়। ভাইরাল ছবি, ভিডিও দেখে অভিযুক্ত যুবককে স্থানীয় মুসকিনগরের তৃণমূল কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। অভিযোগ, সেখানে ধুলিয়ানের টাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রাক্তন কাউন্সিলর মেহেবুব আলম-সহ স্থানীয় নেতৃত্ব অভিযুক্তকে শাস্তির বিধান দেয়। কান ধরে ওঠবোস করানো হয়। সঙ্গে ওই যুবকের ভাইরাল করে দেওয়া অশালীন ছবি, ভিডিও মুছে ফেলার মুচলেকাও লিখিয়ে নেওয়া হয়। যদিও ওই সালিশিসভার পরও ওই কিশোরীর ছবি, ভিডিও না মোছায় গোলাপ শেখের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি শাসক দল তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে অভিযুক্ত যুবকের ডেকে শাস্তির বিধান দেওয়ার ঘটনায় অনেকেই হতবাক।