তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে কুশপুত্তলিকা দাহ থেকে ‘সন্ত্রাসকারী’ স্লোগান খোদ দলনেত্রীর, ড্যামেজ কন্ট্রোলে রুদ্ধদ্বার বৈঠক।

সীমান্তের জেলা মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের অভ্যন্তরের বিদ্রোহ রীতিমতো ধ্বংসাত্মক চেহারা নিয়ে নেমে এলো জলঙ্গি এলাকায়। কার্যত সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে আসা বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাককে পুনরায় প্রার্থী করায় তাকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে রাস্তা অবরোধ থেকে শুরু করে ঘাসফুলের পতাকা হাতে নিয়ে কুশপুত্তলিকা দাহ , এমনকি তৃণমূল সুপ্রিমো ঘোষিত প্রার্থীকে চোর, কাটমানি খোর, থেকে শুরু করে সন্ত্রাস কারী রাজ্জাক হটাও দেশ বাঁচাও স্লোগান পর্যন্ত দিতে কসুর করলো না খোদ এলাকার দাপুটে তৃণমূলের মহিলা নেত্রী তথা মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সদস্য সৈয়দ রাফিকা সুলতানা। তার নেতৃত্বেই চলে এই তৃণমূল সুপ্রিমো ঘোষিত প্রার্থী রাজ্জাক হোসেনের বিরুদ্ধে তান্ডব। ঘটনার জেরে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে রুদ্ধদ্বার বৈঠক ডাকা হয় বলেই বিশেষ সূত্রের খবর। এলাকা মারফত জানা যায়,জলঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলের আসা বিধায়ক রাজ্জাক বনাম স্থানীয় তৃণমূলের ওই মহিলা নেত্রী রাফিকা সুলতানা ও তার অনুগামীদের মধ্যে দ্বৈরথ চলে আসছে। প্রসঙ্গত রাফিকা সুলতানা কে তার অনুগামীরা রাজ্জাক এর পরিবর্তে এলাকায় তৃণমূলের বিধায়ক হিসেবে দেখতে চেয়ে প্রার্থী বানাবার দাবি জানাই জেলা নেতৃত্ব থেকে শুরু করে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। কিন্তু কোনভাবেই সেই দাবি না মানা হলে অবশেষে এদিন এই কাণ্ড ঘটে। তবে এই ব্যাপারে নেত্রী রাফিকা সুলতানা সাফ কথা,”কোনভাবেই সাধারণ মানুষ গ্রামের লোকজন সিপিএম থেকে তৃণমূলে আসা রাজ্জাক হোসেনকে প্রার্থী বলে মেনে নেবে না এটা এলাকার স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ”। যদিও তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব এই নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাইনি।