রাজনীতি

নিমতিতা বিস্ফোরণকাণ্ডে নয়া মোড়, সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশী যুবক।

নিমতিতা বিস্ফোরণকাণ্ডে বড় সরো সাফল্য পেলো রাজ্যে গোয়েন্দা দপ্তর সিআইডি।স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ১ বাংলাদেশি নাগরিক। ধৃতের নাম শেখ নাসিম। বিস্ফোরণের কয়েক দিন আগে থেকে স্টেশন চত্বরে তিনি ঘোরাঘুরি করছিলেন বলে জানা গিয়েছে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, ঘোরাঘুরির নামে আসলে স্টেশন চত্বরের নিরাপত্তা রেইকি করছিল নাসিম। তাঁকে জেরা করছে সিআইডি। কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তাঁর যোগ ছিল কি না জানার চেষ্টা চলছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে, ধৃত ওই যুবক স্টেশনের বাইরে কয়েকদিন ধরে ফল বিক্রি শুরু করে।

গত কয়েকদিন ধরে তদন্তে একাধিক নমুনা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও। আর সেখানেই এই নাসিমের খোঁজ পাওয়ার পরই তদন্তকারীরা তাকে গ্রেপ্তার করে।স্টেশনে মুলত হকারের কাজ করার সুযোগ এ স্টেশনের অনেক কিছুই তার হাতের নাগালে ছিল। ফলে তার কাছে সমস্ত নজর এড়িয়ে বিস্ফোরক রেখে আসাটা খুব একটা কঠিন কাজ নয় বলেই মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে সেই রেখেছে কিনা সেটা এখনও তদন্ত সাপেক্ষ। আর তা জানতেই দফায় দফায় নাসিমকে জেরা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই ঘটনায় বাংলাদেশের জঙ্গিযোগ রয়েছে বলে শুরু থেকেই অনুমান করছিলেন গোয়েন্দারা। বিস্ফোরণের পর দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। তা থেকে জানা যায়, শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটানোই লক্ষ্য ছিল দুষ্কৃতীদের। কারণ বোমায় মশলা এবং স‌্প্লিন্টারের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি ছিল। রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিস্ফোরণের বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে দাবি তদন্তকারীদের। প্রসঙ্গত, সপ্তাহ খানেক আগে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে ।সেদিন রাতে কলকাতা আসার জন্য ট্রেন ধরতে নিমতিতা স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেন ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুগামীরা। সেখানেই বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।কোনও সাধারণ মানের বিস্ফোরণ নয় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলেই মত গোয়েন্দাদের। বিস্ফোরণের তীব্রতায় জখম হন শ্রমমন্ত্রী জাকির হোসেন–সহ কমপক্ষে ২৩ জন। জাকির হোসেনের হাতের একটি আঙুল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণের ঘটনার পিছনে কারা রয়েছে, তা জানতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিআইডি, বম্ব স্কোয়াড, কেন্দ্রীয় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। তদন্তের প্রয়োজনে ঘটনাস্থলে যান এডিজি সিআইডি অনুজ শর্মাও। সূত্র মারফত জানা যায়,সেই সময় ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে রাখা কালো একটি ব্যাগ সরাতে গিয়েই বিপত্তি বাধে। তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা স্টেশন চত্বর। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ছিটকে যান জাকির এবং তাঁর ১৪ জন অনুগামী। জাকিরের হাতের একটি আঙুল এবং বাঁ পা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে নাসিবুল শেখ নামে এক যুবক হাত ও পা হারিয়েছেন। বাকিরাও গুরুতর জখম হয়েছেন।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!