শুভেন্দু অধিকারী কে দিয়ে মুর্শিদাবাদে বাজিমাত বিজেপির,তৃণমূলের একাধিক নেতার সমর্থক গেরুয়া শিবিরে যোগদান।

তৃনমুল দল ছাড়ার পর প্রথম মুর্শিদাবাদ জেলার মাটিতে দলের হয়ে একটি র্যালিতে যোগ দিয়ে বেশ শান্ত মেজাজেই কর্মসূচি পালন করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ।কোন দল কিংবা নেতাকে অক্রমনের নিশানা না করে দৃপ্ত কন্ঠে ঘোষণা করেন , “ রাজ্যে পিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসার জন্য পুরদমে প্রস্তুত ।” তৃণমূল ছেড়ে বেশ কয়েক জন শাসকদলের নেতা নবাব নগরী লালবাগের নাকুড়তলা এলাকায় ওই নেতার হাত থেকে বিজেপির পতাকা গ্রহন করেন ।তৃনমূলের জেলা পর্যবেক্ষক হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর জনপ্রিয়তা ছিল প্রশ্নাতীত ।জেলার প্রতিটি অলিগলি ছিল তার হাতের তালুর মতো পরিষ্কার তেমনি বুথ স্তরের কর্মীদের সঙ্গেও তার ছিল ভালোবাসার সম্পর্ক । ফলে জেলায় এসে বিজেপির র্যালিতে অংশ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কি বলেন তা নিয়ে উৎসাহ কম ছিল না তার প্রাক্তন দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে । সেই উৎসাহে জল ঢেলে দিয়ে প্রায় শান্ত মেজাজেই হুড খোলা গাড়িতে চষে বেড়ালেন জেলা জুড়ে । তবে সুরেই মানুষের কাছে আবেদন রেখেছেন , “ চাল চোর সরকার ,আর নেই দরকার ।” এদিকে পুরাতন অভ্যাসে ফের জানিয়ে দিয়েছেন কয়েক দিন অন্তর অন্তর তিনি মুর্শিদাবাদ জেলা তে আসবেন ।এদিন তার হাত থেকে গেরোয়া পতাকা গ্রহন করেছেন ফারাক্কা -২ জেলা পরিষদের সদস্য সিমা চৌধুরী ও তার স্বামী তথা ফারাক্কার প্রাক্তন তৃণমূল পর্যবেক্ষক সুনীল চৌধুরী, সুতি পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি মাসাদুল হক ও তাদের অনুগামীরা ।তৃণমূলের ওই দুই নেতা কে দলের পতাকা তুলে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন , “ এই তো সবে শুরু হল ,এই জেলাতেও তৃনমূল প্রাইভেট কোম্পানি তে আর কেউ থাকবে না ।” শেষে অধীর চৌধুরী ও তৃণমূল নেতাদের প্রতি শ্লেষ ছুড়ে দিয়ে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেন , “ আমি ওদের মত বলব না ,জেলার ২২ টি আসনের মধ্যে ২২ টি বিজেপি পাবে ।তবে এই জেলাতেও বিজেপি বেশ কয়েক টি আসন লাভ করবে ।”