সামশেরগঞ্জ বিধানসভার কংগ্রেস প্রার্থীর করোণা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুতে ভোট স্থগিতে অচলাবস্থায় এলাকায়।

সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে বড়োসড়ো বিপর্যয় ঘটলো।ভোটের মুখে এবার করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বৃহস্পতিবার ভোরে কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হকের।ঘটনার জেরে ওই বিধানসভা কেন্দ্রে আপাতত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে মুর্শিদাবাদ জেলা রিটার্নিং অফিসার ভোট স্থগিত এর নির্দেশ দিয়েছে।স্বাভাবিকভাবেই এমন দুঃখজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় রাজনীতির মহলে রীতিমতো শোকের ছায়া নেমে এসেছে।ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া এলাকায়। ২৬ এপ্রিল অর্থাৎ সপ্তম দফায় সামশেরগঞ্জ আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যুতে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন সামশেরগঞ্জের দাপুটে কংগ্রেস নেতা রেজাউল হক ওরফে মন্টু বিশ্বাস। করোনার উপসর্গ থাকায় ঝুঁকি না নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট আসে পজিটিভ। প্রবল শ্বাসকষ্ট থাকায় বুধবার তাঁকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।পরে অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় কলকাতার বাইপাসের ধারে এর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ সেখানেই মৃত্যু হয় রেজাউল হকের। এই মৃত্যুতে প্রশ্নের মুখে সামশেরগঞ্জের নির্বাচন। আপাতত ওই আসনে ভোটগ্রহণ বাতিল করা হবে, নাকি পিছিয়ে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও তথ্য মেলেনি। উল্লেখ্য, বাম-কংগ্রেস-আইএসএফের জোট বাঁধার পর আসনরফা নিয়ে জট তৈরি হয়েছিল। বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল বাম, কংগ্রেস উভয়েই। তার মধ্যেই একটি আসন সামশেরগঞ্জ। সেখানে বামেরা প্রার্থী করেছিল মোদাসসর হোসেনকে। এদিনে কংগ্রেস প্রার্থী করে রেজাউল হককে। জোটের জটিলতা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চলে কাটাকুটির খেলা। বাকি আসনের সমস্যা মিটে গেলেও মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ আসনে সংযুক্ত মোর্চা অর্থাৎ বাম-কংগ্রস-আইএসএফ জোট কার্যকর হয়নি। ফলে ওই আসনে আলাদাভাবে প্রার্থী দিয়েছিলে বাম ও কংগ্রেস। এই ব্যাপারে অধীর চৌধুরীর রাজনৈতিক সচিব জয়ন্ত দাস বলেন,”আমরা এই ঘটনায় খুবই শোকাহত এখনই কিছু বলা সম্ভব নয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে”।