বহিরাগত ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে তুলোধোনা প্রধানমন্ত্রী মোদির।

তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে কাঁথির বুকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বহিরাগত ইস্যুতে তুলোধোনা করলেন। আর সেই ভাষণ শুনেই সভায় উচ্ছসিত হলেন মানুষজন। শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বাংলার মনীষীদের সম্মান জানিয়ে বলেন, রবীন্দ্রনাথের পুণ্যভুমীতে কেউ বহিরাগত নয়, সকলেই ভারতবাসী, বহিরাগত নয়। কাটমানি তোলাবাজি বন্ধ হবে ডবল ইঞ্জিন সরকার হলে। আম্ফানে পাঠানো টাকা সব কাটমানির দ্বারা পকেটে ঢুকেছে, দিদি বলছে খেলা হবে, আমরা বলছি উন্নয়ন হবে। দীঘার সমুদ্রের মাছ চাষিদের তোলাবাজির হাত থেকে মুক্ত করার সময় এসে গিয়েছে। দিদি নন্দীগ্রামে এসে নন্দীগ্রামের মানুষকে বদনাম করছে। এই নন্দীগ্রামের লোক দিদিকে হারাবে। আমাদের স্বপ্ন ,আমাদের সংকল্প সোনার বাংলা। এর জন্যই বার বার বিজেপি সরকার। এই ভূমি বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথের, মাতঙ্গিনী হাজরার, সুভাষচন্দ্রের, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর, আমাদের বাংলা সহ ভারত ভূমি । আমরা সবাই ভারতভূমির সন্তান, এই ভূমির কেউ বহিরাগত নয়। মজা করছে, অপমান করছে ভারতভূমিকে, বহিরাগত কেউ মনে করে না। বিজেপির রাজ্য সরকার , মুখ্যমন্ত্রী এই মাটি থেকে হবে। আপনারা মমতা ব্যানার্জীকে দশবছর কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন, যদি কাজের হিসাব চাওয়া হয়, তখন রেগে গালাগালি করছে। দিদি হিংসা বোম বন্দুকের ধামাকা দেখাচ্ছে । বাংলাকে বোম বন্দুক ও হিংসা থেকে মুক্তি দিতে হবে, বাংলার শান্তি দরকার ,আর এই কাজ একমাত্র বিজেপি করতে পারবে। এমনকি কটাক্ষের সুরে মমতা ব্যানার্জীকে ডাকেন “দিদি ও দিদি” আর তাতেই উচ্ছসিত হয়ে ওঠে সভায় আগত বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তৃণমূলের খেলা শেষ হবে, উন্নয়ন ও বিকাশ হবে বাংলায়, এটা বিজেপির সংকল্প। বাংলা চায় শিল্প, শিক্ষা, নারী সুরক্ষা, বাংলা চায় বিজেপি সরকার। বিজেপি কাটমেশিন আটকাবে, কোনো তোলাবাজ নয়। বিজেপি কেন্দ্র সরকার বিদ্যুত, এলপিজি গ্যাস দিয়েছে। তোলাবাজ ভাইপো কোটি কোটি টাকা লুটেছে।
দিদির সরকার কৃষকদের কাছ থেকে কাটমানি, কোলেস্টেরল এর সুবিধা সব বন্দী করে রেখে দিয়েছে। পাশাপাশি মমতা ব্যানার্জীর সরকারকে একাধিক সুরে আক্রমণ শানায় প্রধানমন্ত্রী মোদী। সব মিলিয়ে কার্যত প্রধানমন্ত্রী এদিন ছাপিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কে তা বলাই বাহুল্য।