তৃণমূল সুপ্রিমোর সহ যোদ্ধা সাগির হোসেন যোগ্য সম্মান না পেয়েই অভিমানে হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন!

শুরুটা হয়েছিল সেই নয় এর দশক থেকেথেকে।আজকের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন যুব কংগ্রেসের নেত্রী, সেই সময়কার তাঁর সহ যোদ্ধা তথা মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলের প্রথম সৃষ্টিকর্তা ভগবানগোলার সাগির হোসেন। পেশায় হাই স্কুলের প্রাক্তন এই শিক্ষক কে এইবার বিধানসভা নির্বাচনের দলনেত্রী টিকিট না দিয়ে বহিরাগত ইদ্রিস আলী কে ভগবানগোলা কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। আর তারপর থেকেই কার্যত চরম মানসিক অবসাদে নিজেকে গৃহবন্দী করে ফেলেন সাগির বাবু। মাস খানেক ধরে চরম মানসিক নিপীড়নের মধ্যে দিন কাটানোর পর সোমবার ভোটের দিনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে মারা গেলেন তৃণমূলের ওই বর্ষিয়ান নেতা। এই ঘটনা শোনার পরই স্থানীয় সাগির হোসেন এর অনুগামী তৃণমূল কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে তার পরিবার-পরিজন ও এলাকাবাসী এমনকি বিরোধী দলের মধ্যেও শোকের ছায়া নেমে আসে। তার পরিবারের তরফ থেকেও এই ঘটনায় সাগির সাহেব কে যোগ্য সম্মান না দেওয়াই চরমভাবে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন। এহেন বর্ষিয়ান কয়েক দশকের তৃণমূল নেতার রাজনীতিতে উত্থান হয় উল্কা গতিতে। এই ঘটনার পর মৃত সাগর সাহেবের পুত্র ও পরিবারের লোকজন দলীয় নেতৃত্বের ওপর চেপে রাখা একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।