রাজনীতি

শাসকদলের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে গ্রামের মহিলা পুরুষেরা লালগোলায় একযোগে ভোট বয়কট।

গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য, প্রধান থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কে পর্যন্ত বারবার দরবার করেও মেলেনি ন্যূনতম সরকারি আলো,বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ পানীয় জলের পরিষেবা। তাই আর কোনরকম অনুনয়-বিনয় না করে সরাসরি সোমবার গ্রামের মহিলারা এগিয়ে এসে সকলে মিলে একসঙ্গে ভোট বয়কট করলেন। লালগোলা বিধানসভার অন্তর্গত পাইকপাড়া অঞ্চলের হরিপুর বালিপাড়ার গ্রামের কয়েকশো সাধারণ ভোটার সকলে একযোগে এদিন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ভোট এলেই প্রতিবার নিয়ম করে রাজনৈতিক দলের নেতারা তাদের দুয়ারে এসে হাজির হন প্রতিশ্রুতি নিয়ে।অথচ সীমান্তবর্তী লালগোলার শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত এই গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ ও পানীয় জল পরিষেবার চরম অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি সম্প্রতি গ্রামের কাঁচা পাকা রাস্তার ধারে ন্যূনতম সোলার লাইট টুকু পর্যন্ত লাগানো হয়নি। ফলে রাতবিরেতে মুমূর্ষু রোগী থেকে প্রসূতি সকলকেই প্রাণ হাতে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছতে হয়। এমনকি অনেককেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয়েছে।সামান্য সন্ধ্যা নামলেই গোটা হরিপুর এলাকা যেন অন্ধকারে ঢাকা পড়ে।এখানে পরিস্থিতি নিয়ে গ্রামের বাসিন্দারা শাসকদলের পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে লালগোলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর মিয়া কে বারংবার জানানোর পরেও তিনি এ বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেননি বলেই এদিন অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। এদিন এই ব্যাপারে ভোট বয়কট করে স্থানীয় গ্রামবাসীর অভিযোগ করে বলেন,”আমরা বহুবার শাসকদলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান খেতে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর মিয়া কে আমাদের সমস্যার কথা জানিয়েছি।উনি একবারের জন্যেও আমাদের সামান্যতম সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেননি। তাই আজ বাধ্য হয়ে আমরা কয়েকশো গ্রামের মহিলা ও পুরুষ মিলে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি”।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!